বার্ণিক(বর্ণশিল্পীর ক্যানভাস)
গ্রীষ্ম সংখ্যা, ২০১৭
সম্পাদকীয়
অনেক
কথাই বলার ছিল, কিছু কথা যাই বলে -
আগামীর আবাহনে এগিয়ে চলা ক্রমশ । ছন্দময় পথের
গতিময়তায় রুদ্রপলাশ আর রাধাচূড়ার রঙিন
বসন্তকে বিদায় জানিয়ে “আগুন জ্বালো ... আগুন জ্বালো” স্বরে বৈশাখকে বরণ করা হয়েছে
ঠিকই, উষ্ণতার জটিল স্পর্শে মনে মনে ডাক ছিল “এসো করি স্নান নবধারা জলে” । পাঠকবর্গের মনে হতেই পারে , “বার্ণিক” এর গ্রীষ্ম সংখ্যার প্রকাশ যে অনেকটাই
পিছিয়ে গেছে, আর সে কারনেই উপরের অংশটুকু লেখার জন্য লেখা ... , না আসলে তা নয়, এই
নিত্যদিনের গ্যাস-পলিউশন আর ইলেকশনের কানেকশনে নাস্তানাবুদ বাঙালীর মন ভালো নেই ।
বৃক্ষনিধন থেকে সাম্প্রদায়িকতার বাতাবরণ – কে না জানে আমার শহরটার মন কেমনের গল্প । “মেঘ পিওনের ব্যাগের ভিতর মন কেমনের দিস্তা”দের মন ভালো করার রুপকথা
“বার্ণিক” শোনায়নি । তিন প্রহরের বিল দেখানোর মত প্রতিশ্রুতিতে আমরা বিশ্বাসও করি
না ।
এসব কথা লিখতে লিখতে
“বার্ণিক সাহিত্য উৎসব ২০১৭”র আলোর রেণুরা মাখামাখি হয়ে উঠল সর্বাঙ্গ জুড়ে
। এ বাংলার মানুষজনের মিলনস্থলে কয়েকটি ঘন্টা সাহিত্যের সৌরভে । বার্ণিক প্রকাশনের
আটটি বই প্রকাশ শুধু নয়, লিটল ম্যাগাজিন সম্মাননা প্রদান এবং বার্ণিক সাহিত্য
সম্মান প্রদানের গৌরবান্বিত অধ্যায়ে আমরাও সম্মানিত ।
বার্ণিক গ্রীষ্মসংখ্যার কাজটি বার্ণিকের অন্য সংখ্যাগুলির
থেকে বিন্যাস ও বৈচিত্র্যে ভিন্ন না হলেও বিভিন্ন লেখকদের লেখা, হয়ত যারা কোনদিনই
‘সৃজন’ বা ‘বার্ণিক’ এ লেখেননি । এর বাইরেও গ্রীষ্ম সংখ্যাটির সার্বিক দায়িত্ব
পালন করেছে ‘বার্ণিক’ এর কনিষ্ঠ সদস্য ইমরাজ হাসান । ইমরাজকে ভীষণভাবে সহায়তা
করেছে শুভদীপ সেন শর্মা ।
২০০৯ থেকে ২০১৭ । ‘সৃজন’
থেকে ‘বার্ণিক’ এর এই যাত্রাপথে একটি অনন্য সংখ্যার উপহার আমরা পাঠককে তুলে দেওয়ার
অপেক্ষায় । “বার্ণিক” শারদ সংখ্যা ১৪২৪ । আয়োজন চলছে ।
প্রিয়জনদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা ।
মধুসূদন রায়
সম্পাদক, বার্ণিক
নামাঙ্কন ও অলংকার- শুভদীপ সেনশর্মা
লেখায় ব্যবহৃত ছবি সৌজন্য-ইন্টারনেট