তৈমুর খান
ঘুম ভাঙল না
কথা বলতে বলতে জ্বরের ভাঙা আয়নার কাছে
দাঁড়িয়ে আছি
একটু জল গরম হবে
?
সন্ন্যাসিনী কররেখা গুনে গুনে
আলখাল্লার দিকে চলে গেল
আমার ঘুম ভাঙল না তবুও
কাঁপন এল । কোনও প্রাচীন কাঁপন এক
।
সন্নিধির পরস্পর জ্যোতি ঢেকে দিল
মেঘবর্ণ অবিশ্বাস .....
অনবরত কাপড় পরে নিতে নিতে
নিজেকে ডাকছিলাম
ঘুম ভাঙল না তবুও
।
খোলা দরজায় বিশ্বাস চলে গেল...
খুঁজে যাচ্ছি
প্রশান্তির উল্কায় একটি মানবগ্রহ খুঁজে যাচ্ছি
এখানে পৃথিবী জুড়ে দাগ
সমস্ত যুগের ট্রেন রক্তের দিকে চলে গেছে
এসেছে রক্তাক্ত
চাঁদ ভোরের আকাশে
দুর্যোগের কপালে কি অনসূয়া বার্তা দিতে চাও ?
জীবনমহিমার বৃক্ষে গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলে
কী গন্ধ এনে দেবে
?
সমস্ত জিজ্ঞাসার নদীতে খুঁজে যাচ্ছি নাও
পরপারে যাব
পরপারে যদিও অব্যয় সব সংশয় সূচক
তবু বিস্ময় দাঁড়িয়ে আছে আমাদের প্রতিটি বিশ্বাসে
চেয়ে চেয়ে সারারাত দেখি তাকে...
মধ্যবিত্ত পাড়া
প্রশ্ন আর রক্তের ভেতরে ডুবে যাচ্ছে আমাদের গান
হিরণ্য সুখ চলে যাচ্ছে কোথায়
কেউ কি তা জানে
?
গর্জন শুনতে শুনতে আমরা কার অপেক্ষা করছি ?
কে বাজনা বাজাতে বাজাতে আসবে
আর সারারাত নাচবে উঠোনে ?
আমাদের ক্ষয়িষ্ণু মধ্যবিত্ত পাড়ায়
অনেক মৌমাছি উড়ছে
বিজ্ঞাপনের আলো জ্বলছে
তবু ভেতরে ভেতরে ভিখিরি সবাই
কেউ দেখতে পাচ্ছে না
প্রত্যেকেই হাত পেতে আছে ।
No comments:
Post a Comment