Thursday 29 June 2017

কবিতা


কুমারেশ তেওয়ারী




বিভ্রম


আর এই খুলে পড়ার মধ্যেই নিরন্তরতা
উহাকে উন্মোচন বলো ঘাইযন্ত্র বলো
অথবা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক
স্ট্রবেরি ঘাম ঝড়ে পড়তেই গলি আলোকিত
হয়ে উঠবেই খুব সিনেমেটিক
জঙ্গলরুটের কাছে সেজেগুজে বসে থাকবে কুঞ্জবন

কোথাও উবু হয়ে  বসে নিউটন ওড়াবে তৃতীয় সূত্র
কোথাও ওয়াচটাওয়ারে বসে নচিকেতা মৃত্যুর সঙ্গে আলোচনায়
দেখাবে ফলকগুলো থেকে উঠে আসছে
ভৈরবী রাগের ধুন

দাঁড়ি কমা হাইফেন ছুটতে ছুটতে
ভেঙে পড়ছে অথবা ঢুকে পড়ছে
ডিমের কুসুমে কুসুমায়িত হবে বলে

আর লীনতাপ ছড়িয়ে পড়তেই
গাছপালা
নদী পাহাড় উপত্যকা এবং মানুষ
কেলাসিত অবাক দর্শক এবং তাদের চাঁদিয়াল বিভ্রমগুলোও



তখনও ছিল সুসমাচার


তুমি তো ফেরার ছিলে তাই দেখনি
এতসব ঘটে যাওয়ার পর যখন বালতি চাইছে
আরেকবার এবং বারবার দেখে আসতে
কুয়োর মুখ যত সব হিমাঙ্ক হটিয়ে
তখন ইবলিসের মুখের ভেতরে সার সার
শুধু মরা সাপ, যাদের আর কোনো নিঃশ্বাস  ছিলোনা

সুইসাইড নোট ক্রমশ গুটিয়ে ছোটো করে নিচ্ছিল নিজেকে
ঘুমিয়ে পড়া সাঁকো জেগে উঠে প্রস্তুত করছিল পারাপার 

তুমি তো দেখনি কিছুই
ভেঙ্গে যাওয়া অক্ষরের শরীর থেকে
উঠে আসা প্রতিফলনে জেগে উঠছিল কক্ষপথ
আর উথালপাথাল আবার মেখে নিচ্ছিল
লবণাক্ত হওয়ার সুসমাচার










এইসব গোপন কথাগুলি 

এইসব গোপন কথা থেকে উঠে আসবে অমলতাস 
আর রজনীকান্তের নির্বান্ধব গান মৃদু ফুল
কোমলগান্ধার দেখাবে সরলতা আজও কতটা প্রাসঙ্গিক

বিভিন্ন রঙের কুণ্ঠা থেকে ঝরে পড়তে থাকবে
কালো রঙের ছাই পায়েসান্ন হাতে সুজাতা এসে
শোনাব এক দীর্ঘ ভ্রমণকাহিনী
পরতে পরতে যার ঘেসাঘেসি  বসে থাকে সুরেলা আনন্দ আর বিষাদঘন রাত

এক দীঘল ল্যাণ্ডস্কেপের ছবি এঁকে পুনশ্চ মুছে দিচ্ছে এক চিত্রকর
চোখ থেকে তার বেরিয়ে আসছে একটার পর একটা
বিবিধ প্রজাতির সাপ  দেখতে দেখতে জ্বলে উঠছে
জন্মজেয়র যঞ্জের আগুন

অথচ সাপগুলো সব পাতালকন্যা উলুপির পাশে বসে
দেখছে তার শৃঙ্গার

এইসব গোপন কথাগুলি কি কোনোদিন
নাটকীয় সংলাপ  নিয়ে দাঁড়াবে দরজায়
ভাবতে ভাবতে বৃহন্নলা অর্জুন মালা গেঁথে দিচ্ছে
রাজকুমারীর চুলে



1 comment:

  1. প্রতিটাই দারুণ।তবে,তখনও ছিল সুসমাচার অনবদ্য

    ReplyDelete