সম্পাদকীয় ২
.......................................................................................................................................
ঘড়ির কাঁটাটা টিক টিক চলতে চলতে জানিয়ে যায়, সময়টা বয়ে যায়। সময়টা বয়ে যেতে যেতে কেমন যেন বদলেও গেছে। সদ্য শীতের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে বসন্ত। শীতটা ঠিক কবে এলো আর গেল বা কখন! কই টের পেলাম না তো!...আসলে ব্যস্ত জীবনের আড়ালে দিন,মাস,বছরের মত হারিয়ে গেছে। সকালে স্কুল থেকে ফিরে শীতের নরম রোদে বন্ধুদের সাথে খেলা। দুপুরে মা-ঠাকুমার মুখের রূপকথার গল্প, কল্পকাহিনির পক্ষীরাজ ঘোরা অথবা উলের কাঁটা হাতে, সেলাইয়ের সুতো হাতে আচারের বাটি নিয়ে হাল্কা রোদে পিঠ সেঁকা আর হরেক গল্প-আড্ডা। বন্দি আজ জীবন এল-ই-ডি স্ক্রিনে। বন্দি আজ জীবন, তথ্য ভান্ডারের ডিজিটাল পাতায়। বন্ধুকে আজ চিঠি লিখতে হয়না। কি হবে? লিখবো কি? রোজকার খবরের আপডেট তো আপলোড থাকেই “মুখবই” এর পাতায়। সব কাজ সেরে আজ আর মানুষের হাতে সময় কোথায় যে, দু’দন্ড কাটাবে সাহিত্যপাঠে!... কবিতা তবু ছোটো তো পড়া যায়। অতবড় গল্প, উপন্যাস পড়ার জন্য অনেক সময় দরকার। ট্রেনে বাসে একটু গান শুনবো না বই পড়বো বলুন তো...একটু এন্টারটেনমেন্টও তো দরকার... অত কাজের চাপ!
বাড়ি ফিরে চায়ের কাপ হাতে হোয়াটস্অ্যাপে বন্ধুদের খবর না নিলে সবাই অসামাজিক বলবে। রাতের ঘুমটাও তো পরিপূর্ণ না হলে চলবে না... তাই আপাতত অবসর জীবনের জন্য তোলা থাক সাহিত্যপাঠ। ......এ বড় অসময়! তবে কি গল্প, উপন্যাস সব হারিয়ে যাবে সময়ের চোরা স্রোতে?...... না, অন্তত যতদিন সাহিত্যপ্রেমি কিছু মানুষ ও ছোটো ছোটো পত্রিকা গুলো বেঁচে থাকবে, বেঁচে থাকবে গল্প, উপন্যাস সব। চলবে এই অস্তিত্বের লড়াই। এমনই এক সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বার্ণিকের এই বিশেষ গল্প সংখ্যা...। কলম ধরেছেন অনেক সাহিত্য যোদ্ধা।
.......................................................................................................................................
ঘড়ির কাঁটাটা টিক টিক চলতে চলতে জানিয়ে যায়, সময়টা বয়ে যায়। সময়টা বয়ে যেতে যেতে কেমন যেন বদলেও গেছে। সদ্য শীতের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে বসন্ত। শীতটা ঠিক কবে এলো আর গেল বা কখন! কই টের পেলাম না তো!...আসলে ব্যস্ত জীবনের আড়ালে দিন,মাস,বছরের মত হারিয়ে গেছে। সকালে স্কুল থেকে ফিরে শীতের নরম রোদে বন্ধুদের সাথে খেলা। দুপুরে মা-ঠাকুমার মুখের রূপকথার গল্প, কল্পকাহিনির পক্ষীরাজ ঘোরা অথবা উলের কাঁটা হাতে, সেলাইয়ের সুতো হাতে আচারের বাটি নিয়ে হাল্কা রোদে পিঠ সেঁকা আর হরেক গল্প-আড্ডা। বন্দি আজ জীবন এল-ই-ডি স্ক্রিনে। বন্দি আজ জীবন, তথ্য ভান্ডারের ডিজিটাল পাতায়। বন্ধুকে আজ চিঠি লিখতে হয়না। কি হবে? লিখবো কি? রোজকার খবরের আপডেট তো আপলোড থাকেই “মুখবই” এর পাতায়। সব কাজ সেরে আজ আর মানুষের হাতে সময় কোথায় যে, দু’দন্ড কাটাবে সাহিত্যপাঠে!... কবিতা তবু ছোটো তো পড়া যায়। অতবড় গল্প, উপন্যাস পড়ার জন্য অনেক সময় দরকার। ট্রেনে বাসে একটু গান শুনবো না বই পড়বো বলুন তো...একটু এন্টারটেনমেন্টও তো দরকার... অত কাজের চাপ!
বাড়ি ফিরে চায়ের কাপ হাতে হোয়াটস্অ্যাপে বন্ধুদের খবর না নিলে সবাই অসামাজিক বলবে। রাতের ঘুমটাও তো পরিপূর্ণ না হলে চলবে না... তাই আপাতত অবসর জীবনের জন্য তোলা থাক সাহিত্যপাঠ। ......এ বড় অসময়! তবে কি গল্প, উপন্যাস সব হারিয়ে যাবে সময়ের চোরা স্রোতে?...... না, অন্তত যতদিন সাহিত্যপ্রেমি কিছু মানুষ ও ছোটো ছোটো পত্রিকা গুলো বেঁচে থাকবে, বেঁচে থাকবে গল্প, উপন্যাস সব। চলবে এই অস্তিত্বের লড়াই। এমনই এক সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বার্ণিকের এই বিশেষ গল্প সংখ্যা...। কলম ধরেছেন অনেক সাহিত্য যোদ্ধা।
No comments:
Post a Comment