Friday 10 March 2017







বার্ণিকের কবিতা ৩-


উত্তর বসন্ত
ইমরাজ হাসান


ছোঁয়াচে রোগের মতো বসন্ত গাঁথে ত্রিশূল
আমার রক্তের সব আঁশটে ব্যর্থতা---
আমারই থাক। তুমি শুভ্রতা নিয়ে যাও।
আত্মসন্ধানে নিরুদ্দেশ খেয়ার মাঝি
ক্লান্তিতে নুয়ে পরা চৈত্রের মতো---
দহন করে। বহন করে আমাকে।
রাত্রির চোখে অদ্ভূত আগুন থাকে
তুমি শুধু চাঁদের চোখে চোখ রাখো।
প্রিয়তর যন্ত্রণার ফসিল ধুয়ে যায় কান্নায়
কালো ঘোড়ার লাগাম ধরে থাকি---
বৃষ্টিতে ধুয়ে যাক পথচলা। পথ পরে থাক।
নগ্নতার ক্লেদে ভেসে যাওয়া মায়ের বুক আমার থাক,
তোমরা ফসলের পশরা সাজিয়ে বসো উল্লাসে!!




শেকড়
ইমরাজ হাসান





যে চিনছে আমাকে প্রেমিক বলে
সে জানেনা আমি সারারাত ধরে;
যন্ত্রণার নীল সেতু গড়ি।
একটা শেকড় পোঁতা ছিল কবে...
মনে নেই, বাবা-মায়ের জীবন্ত মুখ।
যে মেয়ে চুমু খাবে বলে ঠোঁট বাড়ায়
সেও জানেনা এই নির্বিকার শরীর;
অর্ধেক জীবন নিয়ে বেঁচে আছে।
অভিমানের রূপালি ফেনা মেখে সারাগায়ে
প্রিয় কুসুম গাছের নিচে, নতুন বসতি বসছে।
মনমরা নদী ফিরে ফিরে আসে ছবিতে
পাঁজরে যেন গুলি বিঁধে আছে যন্ত্রণার।
মন ভালোর সেতু রোজ গড়ে ওঠে
হটাৎ হাওয়ায় রোজই তা ভেঙে যায়।

No comments:

Post a Comment