Thursday 29 June 2017

কবিতা

কুন্তল মণ্ডল



শিষমঙ্গল


দেখেছিলাম স্তুতিময় দুটি হাত।
শীতের দুপুরে প্রান্তর ঢুঁড়ে কুড়িয়ে আনা
ভাঙা মন্দিরের চূড়াগুলি,বন্দনাগানে-
জ্বলে ওঠা চড়ুইভাতির চুল্লী।

তীর্থসফল আপামর দুটি হাতে
আগুনের নগ্নবসতি...                       


 

হৃদয়ঘটিত 


বুকের বাঁ দিকে ব্যথা হলে,আজকাল ভয় পাই খুব।শুনেছি ওখানেই নাকি হার্ট থাকে; বাংলায় হৃদয়।
তবে যে বলে ভালোবাসা! সে থাকে কোনখানে?
যা কিছু হৃদয়ঘটিত সে কি তাহলে ভালোবাসা নয়?

তোমার বুকে মাথা রেখে,একদিন আমিও শুনেছি কত-
ভৈরবী ধূন, সমুদ্রের শঙ্খ নিনাদ...।আজ শান্ত সবই
                                           নিঃসীম শবযাত্রার মতো।

হৃদয় পোড়া না হলে ভালোবাসা নাকি হয়না সোনা।
তবে এসো এই সূর্যাস্তে,রাখো হাতে হাত; বলো-ভালোবাসি।নিঃশেষে আরো একবার পুড়ে যাই।

                     

বিকল্পঃ সুইসাইড নোট



যদি কখনো স্বেচ্ছায় বরণ করে নিই মৃত্যু;
দায়ী করব না কাউকেই। না রাষ্ট্র,না বন্ধু বা                                আত্নীয়স্বজন; কাউকেই না।
যে মানুষকে মূদ্রাদোষে  পেয়েছে এমন,তার কাছে
মৃত্যু তো একটা ইস্তাহার; বহুদিন  ভিতরে  বহন করেক্রমে যা  হয়ে উঠল -মৃত্যুজ্ঞয়ী।
আজ বুঝি সময় হ'ল তার, প্রকাশ্যে মুখ দেখাবার।

প্রতি মুহূর্তে মরেছি আমিও কত,যেভাবে মাটির গভীরে থাকা অশক্ত, দুর্বল গাছের  শিকড় কুড়ে কুড়ে খায়
                                              বিষাক্ত পোকারা।
তবু সুইসাইড নোট লেখার কথা -
                       কখনো ভুলেও মনে হয়নি আমার।

জানতাম, মৃত্যুর পর কেউ না কেউ তো দুষবেই-'লোকটা কবি ছিল যত না,ভিখারি ছিল তার দ্বিগুণ।'   স্ত্রী-সন্তান  যারা,

                  চোখের জলে লিখবে -এপিটাফ!




No comments:

Post a Comment