কুন্তল মণ্ডল
শিষমঙ্গল
দেখেছিলাম স্তুতিময় দুটি হাত।
শীতের দুপুরে প্রান্তর ঢুঁড়ে কুড়িয়ে
আনা
ভাঙা মন্দিরের চূড়াগুলি,বন্দনাগানে-
জ্বলে ওঠা চড়ুইভাতির চুল্লী।
তীর্থসফল আপামর দুটি হাতে
আগুনের নগ্নবসতি...
হৃদয়ঘটিত
বুকের বাঁ দিকে ব্যথা হলে,আজকাল ভয় পাই খুব।শুনেছি ওখানেই নাকি হার্ট থাকে; বাংলায় হৃদয়।
তবে যে বলে ভালোবাসা! সে থাকে
কোনখানে?
যা কিছু হৃদয়ঘটিত সে কি তাহলে
ভালোবাসা নয়?
তোমার বুকে মাথা রেখে,একদিন আমিও শুনেছি কত-
ভৈরবী ধূন, সমুদ্রের শঙ্খ নিনাদ...।আজ শান্ত সবই
নিঃসীম শবযাত্রার মতো।
হৃদয় পোড়া না হলে ভালোবাসা নাকি হয়না
সোনা।
তবে এসো এই সূর্যাস্তে,রাখো হাতে হাত; বলো-ভালোবাসি।নিঃশেষে আরো একবার পুড়ে যাই।
বিকল্পঃ সুইসাইড নোট
যদি কখনো স্বেচ্ছায় বরণ করে নিই
মৃত্যু;
দায়ী করব না কাউকেই। না রাষ্ট্র,না বন্ধু বা আত্নীয়স্বজন; কাউকেই না।
যে মানুষকে মূদ্রাদোষে পেয়েছে এমন,তার কাছে
মৃত্যু তো একটা ইস্তাহার; বহুদিন ভিতরে বহন করে,
ক্রমে যা হয়ে উঠল -মৃত্যুজ্ঞয়ী।
আজ বুঝি সময় হ'ল তার, প্রকাশ্যে মুখ
দেখাবার।
প্রতি মুহূর্তে মরেছি আমিও কত,যেভাবে মাটির গভীরে থাকা অশক্ত, দুর্বল গাছের শিকড়
কুড়ে কুড়ে খায়
বিষাক্ত পোকারা।
তবু সুইসাইড নোট লেখার কথা -
কখনো ভুলেও মনে হয়নি আমার।
জানতাম, মৃত্যুর পর কেউ না কেউ তো দুষবেই-'লোকটা কবি ছিল যত না,ভিখারি ছিল
তার দ্বিগুণ।' স্ত্রী-সন্তান যারা,
চোখের জলে লিখবে -এপিটাফ!
No comments:
Post a Comment