Thursday 29 June 2017

কবিতা

দীপাঞ্জন মাইতি



পুরানো সে দিনের কথা

সবচেয়ে বুড়ো যে বটগাছটা আমি চিনি –
তার ছায়া ডুবে আছে বছর শতেক তিনের আফশোষে..
মাঝে মাঝে ঝুড়ি বেয়ে নেমে আসে মিথেনের ফোঁটা,
ন্যাংটো ছেলের দল বৃষ্টি না পেয়ে গায়ে মেখে বসে;
জঙ্গলের শেষ প্রান্তে হাপিশ হয়ে যায় তাদের লাশ –
এভাবেই বহু নাম ছাড়া আফশোষ জড়ো হয় গাছের তলায়..

সুলভ


ক্ষুধার্ত শহরের স্যাঁতস্যাঁতে নামকানা গলিগুলো দম্ভে হলুদ হয়ে থাকে,
গঞ্জের সবুজ বরাবর বোকা বোকা তার কাটা।
দূরপাল্লার বাসে করে রওনা দেয় শহরে - বাড়তি কুড়ি টাকা পকেটে,
উচ্চারণে লেগে থাকা পরিচয়ে ধরা পড়ে যায় ছেলেটা;
মোহর কুঞ্জের বেঞ্চিতে বসে থাকে গোটা দুপুর - ওরা বলেছিল আসবে,
কথা হবে দু’টো.. ভাগাভাগি হবে ভালো মন্দ।
এক ডজন কাঁচা মিঠে আম নিয়ে এসেছিল সে.. ফেলে রেখে গেছে –
মুছে দিয়ে গেছে গোটা শহরের গায়ে লেগে থাকা সুলভ শৌচালয়ের গন্ধ। 
হয়ত এক বেলার জন্য.. মাত্র এক বেলার জন্য..

 প্রেম খ্যাতি ও অধর্ম
 

কালো পাথরের গায়ে তিন আঙুলে টানা সরলরেখা,
পাশে ছেঁড়া পাতায় ফর্কে চাপানো কন্ডোমোনিয়াম,
চমকে দিলে চমকে গেলাম ধমকে দিলে বোমকে গেলাম,
বললে কোপাবে বললে গোঁতাবে.. আটার সে এক প্যান্ডোমোনিয়াম,
হজ হজে গজ গজে ধর্ম অধর্মে ফুটবল ম্যাচ খিদে পেলে
মধ্যবিত্ত ট্রেনে হাত পাতে গলায় ডবল ওজনের হারমোনিয়াম..
বিক্রি হল ঝাড়পিট বেশ ফুটল না ফুল পোড়া বাগানে,
ওরা যারা ভালোবেসেছিল জি জান দিয়ে
শেষ চুমুকের চিহ্নে রেখে গেছে কোনিয়াম।







1 comment:

  1. ভালো । একটু প্রাচীন শৈলীর লেখা । তৃতীয় কবিতাটি বেশী ভালো লাগল । শুভেচ্ছা

    ReplyDelete