মুহম্মদ মতিউল্লাহ্
পেপার ওয়েট
সমস্ত দুপুর আর বাবার চোখের
উদাসীনতা জুড়ে স্তব্ধ টেবিল
তার ভেতরে জেগে আছে পেপারওয়েট
মাছের পীতের মত রঙ, গায়ে হলুদ
দাগ, ভয়ংকর বাঘ নয়
শুধু স্তব্ধতার, প্রত্ন-প্রহরের
ছাই চাপা আগুন
পাণ্ডুলিপি ছিঁড়ে শেষ হয় বাতাসের
ভারে। অবনত সন্ধ্যায়
বাবার তসবিহ জুড়ে ধ্বনিত
মন্ত্রোচ্চারণ : আত্মজীবনীর
প্রথম পাতায় চুপচাপ বসে থাকে
নিরীহ পেপারওয়েট
গৃহী বালক
কত উদ্বেগ ভরা রোদ্দুর, তার
ম্রিয়মাণ ছায়া কাঁপছে বনে
সবকটি রোদ চশমা নিয়ে খেলা করবে,
বালক বলেছিল
আকাশ প্রতিম করুণা মেঘের ভারে ঝরে
পড়ছে
সৌর গ্রহণের অলীক গল্পে কী অসহায় বালক ঘুড়ি ছিঁড়বে আজ
কত একা অই সূর্য কত দুঃখ কত দুঃখ কেউ শুনছে না
কত পথিক চোখ মেলছে কেউ শুনছে না
মন খারাপের গল্প গৃহী বালক কাকে
লিখবে
কত ব্যপ্ত আনন্দ আজ আকাশ বলছে, না
প্রাক্তন গার্হস্থ্য
বিকেলে বৃষ্টি নামল কবরখানার
মাঠে। বিশুদ্ধ প্রণাম থেকে
মনুষ্যের স্তবতাপ থামিয়ে ভিজছেন
পিতৃপুরুষেরা
সবুজ এবং পড়ন্ত খেজুর পাতা মোড়া
নিষ্পল্লব অই অন্ধকার
কী ভীষণ অসহায়, একা
প্রাক্তন গার্হস্থ্য মাটির গভীর
থেকে উঠে আসছে এবং
অন্ধকার ব্যাপ্ত করে আলোকিত
স্বপ্নের মত
পৃথিবীর কনিষ্ঠতম ধর্ম-গ্রন্থের
পাতাটি দুলে উঠল আকণ্ঠ তৃষ্ণায়
প্রত্নপ্রহরের ছাইচাপা আগুন টের পাওয়া যায় ।
ReplyDeleteনম্র উপস্থাপনা
ReplyDelete