Thursday 29 June 2017

কবিতা

ওয়াহিদা খন্দকার



কাঁটাতার

        
গোরস্থানের বটগাছ কাটা হল সবে;
ফরসা হল স্যাঁতস্যাঁতে টালিঘর
আমাকে কেউ নাম দেয়না,
দেওয়াললিখনেও নেই আমি
বন্দী বালিশে জমা আছে সেইসব স্বীকৃতি
মজ্জায় গাঁথা হয় শুধু মিছে পুরাণ

কাঠঠোকরা খেয়ে গেছে চোখ ;
রেখে গেছে অবিকল্প শরীর
শরীরেরও মন থাকে হয়ত,
নিহত নদীর শেষ কাঁটাতারে
                               

 উদ্ভিদ


শহর লেখা হতে থাকে দেয়াল কাগজে
প্যাডেল চালিয়ে ঘন বয়স্ক আয়ু
ততদিনে ডাগর বেনারসি, নাকছাবি,দেয়াল ফুঁড়ে বেরোনো উদ্ভিদ...

কে যেন বলে যায় সূচবন্দী নকশা,
বাণীঅর্চনা !
সোনার খাটে শুয়ে আছে উদ্ভিদ
নরম বালিশে তাই কম্পিত হার্টবিট
স্পর্শরা ভুল ঠিকানায় নক করে
ফিরে যায় গত ক্লাসে

মা শুধু চিনতে পারে রেওয়াজ
কারন সেও বিকলাঙ্গ
হয়তো কাউন্সেলিং প্রয়োজন
                              

 কথা  

কথাগুলিকে ফেলে গেছো পরিত্যক্ত গ্লাসে
নীল খাম শুকিয়ে গেছে আমারও
রক্তশূন্য শুকনো পাতাও রেকর্ড করেছে পদশব্দ
কথাদের রেখে গেছো স্বৈরাচারী চাবুকে
চিঠিতে ছুটছে তাই অবিরত শব্দভেদী বাণ

রোজ বায়না--মৃত্যু---কবর......
কথারা এভাবে নিষেক টুকে রাখছে স্নায়ুর আশেপাশে
বাথটাবে সোনার বুদবুদকে দিতে চেয়েছি শীতল গান
তবু লাট খেয়ে পড়ে থাকে ওদের সন্তান

আমিও এনিমেশন দিচ্ছি ভিন্ন ভিন্ন কথা চরিত্রে


               


No comments:

Post a Comment