জয়দেব বাউরী
ঘর
যতবার ফিরিয়েছ উষ্ণ থর বয়ে গেছে পায়ে।
তুর্কী আক্রমণ পর বাংলা সাহিত্য যেন দু'চোখ !
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন হয়ে তবুও তো গেছি বারবার
আদরে ও অনুরাগে বসিয়েছ ভেতরের ঘরে
আবারো সুনামি হবে? তোমারই নিগূঢ় খেয়ালে?
বহুদূরে ভেসে যাবে, সরে যাবে বসতি আমার?
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন হয়ে কল্লোল পত্রিকা হয়ে তবু
দুর্নিবার কাছে যাই, বসে পড়ি দুয়ারে তোমার ।
দশক
নতুন আকাশ নতুন প্রহর জাগে
সবুজ অবুজ শস্যের অনুরাগে।
কার পথ চেয়ে, কারই প্রতীক্ষায়
ফুলে ফুলে পথ শাখাগুলি ভরে যায় ?
ভাঙাচোরা মন কোমর নদীর বাঁকে
অনুভূতি ফোটে শব্দের ঝাঁকে ঝাঁকে।
নতুন কলম নিজেই গঙ্গানদী
আর্শিনগর, কৃষিকাজ নীরবধি...
লেখো কলরব, শ্বাসরোধী-দিন, শোক
নতুন নগর উন্মোচিত হোক ।
লেখা
সে তো আসছে বহুদূরের থেকে থেকে
তার সে পথে পাহাড়-নদী টিলা
কখনো ঝড় বৃষ্টি নামে ঝেঁপে
তাকে আহত করে আগ্নেয় শিলা !
সে আগ্নেয় জিন গড়ানো লাভা
আগুন জ্বলা ছায়া নিবিড় পথ
তবুও তার আগমনের আভা
পূব আকাশে
ছড়িয়ে গেছে মথ।
আর সে আসে এসব কিছু ভেঙে
সময় কিছু সময় শুধু বয়
শস্যে দানা জমাট বেঁধে এলে
সেই সে আলো
নিজের কথা কয়
ততটি খণ ধ্যানমগ্ন
চাঁদ
ততটি খণ নিটোল আরাধনা
সে শুভ সৎ ; অতিথি মেহমান...
কেন্দ্রে থাক প্রার্থিত বাসনা ।
No comments:
Post a Comment