রশ্মি মজুমদার
অপেক্ষামাস
জটিলতার বাড়িতে নামগানের ঢেউ পাওয়া
যায় আজকাল
মাঘীপূর্ণিমার রেশ ছড়িয়ে পড়ে
ঝাউবনের শরীর,
গঙ্গার কোমলতা পূর্ণ ডালি বেয়ে লহরী
আসে দ্বারে
আমার কুঁড়িঘরে তার মাটিশরীর, তুলোমনটুকু নজরানা...
ফুলেল চেতনায় অস্তমিত কোষাগার
সুপ্তর উপচানো আতর মেখে কেটে যাক
স্থবিরবলয়
এ আড়ালজীবন আবেশতায় ভরা...
না চাইলাম হাত ধরার প্রতিশ্রুতি
নাই বা দিলাম জন্মকাহনের ভিটে
হেতু ছাড়া বর্মরা ধূপদানীতে মিলতে
চাওয়া সাথী,
সঙ্গীবীজ ছেড়ে সাধনার স্তূপে যাচ্ছি
ধূসরবেলায়...
জেগে আছে ছিদ্রজাল দুই ঘেরাটোপ চোখে
ডানায় বিস্তার নিক খেয়াপথ
কুড়িয়ে পাওয়া বহ্নিযুগ উঠানে আসন
পাতে
আসলে অপেক্ষারা রাঙানোই থাকে
আশানামের ছোঁয়ায়।
আবেশজাত
বিষণ্ণতা জমিয়ে যে পাথর, তাকে ছায়াশরীর নাম দেওয়া যাক
অবগাহনের মুহূর্ত ছেঁকে পুরনোজাত কথা
বেনামী হিসেবগাছ মুছে গেলে বিবশদিন, তানদেহ ধারণ করুক
আমি বালুকাজ সেরে মেখে নেব ব্যথা
এভাবেই দৃশ্য ও উপাদান- পারস্পরিক
অভিঘাতের তন্দ্রাতুর নৌকা
অভিমানী সুখচরের অন্যনাম- গোধূলী
তোমার শব্দশহরের আড়ালে নিশ্চিন্ত
কুটির ও একা দিনজল
ভেসে যাক দিগন্তে, সারারাতের ব্যস্ত গলি।
প্রশ্নমালা
আঙুলেরাও ডানা হতে চায়,
পাঁচতলা হোক অথবা গ্রাউন্ডফ্লোর,
যে স্রোত শিরাধমনীর জটপাকানো
সংসার ছেড়ে
তোমার দিকে বইছে,
তুমি তার বেখেয়ালি খদ্দের,
মেটেরঙের ঘরবাড়ি পিচরঙা সুদৃশ্য
গাড়ি- আগাগোড়া সুলভ জীবন।
এক্ষেত্রে স্থূল কম্পন বড়ই দামি
হয়,
অরণ্য আগলিয়ে রাখা প্রাচীন জৈবিক
দেওয়াল,
তাকে তুমি মরীচিকা বলে জানো...
এসব আজ একপাশে সরিয়ে রাখো,
মুখোমুখি বসো,
টেবিলল্যাম্পের আলোয় যতটুকু পারা
যায়
রেটিনা জোড়ালো কর,
বলতে পার,
চোদ্দ নাই ষোল ফুটের মাঝে আর কতটা
দেশ জমা করলে
তুমি দূরবীন ছাড়া একা পাহাড়
টপকাতে পারবে?
No comments:
Post a Comment