অনুক্তা ঘোষাল
চুপ কথা
কেমন করে সাজাই কথা বলো, কেমন করে গল্প গুলে খাই
আঁচল খুলেই বাঁধব যখন হাত কেমন করে ফস্কাব সেই ঠাঁই?
বন্ধ চোখে স্বপ্ন জ্বেলে আলোর, কেউ রাখেনি অঙ্গীকারের দায়
রাত পোহালেই উল্টো পথে পাড়ি, তখন আমি আমার সীমানায়
হাজার কথা মাখছি পেটে বুকে, শেষ মানেনি হাত যেখানে তাতে
হার মেনেছি সেই তো খিদের ডাকে সবুর যখন মুখ ঝোঁকালো ভাতে।
আমার থেকে আমায় করে চুরি যখন ছুটি শেষ প্রহরের ডাকে
তখন শুধু মনের কাছাকাছি, শরীর টুকুই আটকে থাকে খাটে।
নীরব রাতে যখন আঁধির সাড়ায় ঠান্ডা চোখে ডুকরে ওঠে ব্যাথা
শক্ত
হাতে লুকাই বুকের খাঁজে নিচুপ মনের গোপন সে চুপকথা।
আজও কিছু কথা
আজও কিছু কথা মগজে ভিড় করে থাকে
ঠোঁট বেয়ে কিছু নামে পাতে,
লাগামের পোষ মানে কিছু দিগ্বিজয়
কিছু শুধু দূরে হাসে গন্ধে মাতাতে।
তবু আজ ধরাধরি, মাখ তেল ফেল কড়ি
অন্ধকার বুক চুষে খায়।
আঁশ হুল ছুলে কেন পরিপাটি আঁচড়ানো
পিঠ টান, স্ক্যান্ডাল পাতায় পাতায়।
এইভাবে তড়িঘড়ি নাম বাড়ে ভুরিভুরি
কিছু মরে বেঘোরে , চোরা কোনো বাঁকে
তবু কিছু উস্কায় চাহনির মহিমায়
অন্ধকারে ঝোঁকে মুখ দুপায়ের ফাঁকে।
বিসর্জন
আঁধার কোলে জ্যোৎস্না আবেশ তিলোত্তমার রাত
রিক্ত শরীর স্বত্ব ভাসান নীরব আর্তনাদ।
গহন আঁধার খুলছে টেনে মুখোশ আড়াল মুখ
অতল কালো , লুব্ধ হনন , নারী কায়ার সুখ।
আত্মগ্লানির নিত্য ছোবল লজ্জাভেজা শাড়ি
সত্ব
বিলোপ , অর্থে নিলাম , মায়াশরীর নারী।
অস্থিজলে আত্মাহূতি , অবাধ সমর্পণ
পতিতা নামেই সমাজ দিল দেবীর বিসর্জন।
No comments:
Post a Comment