Thursday 29 June 2017

কবিতা

ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত



নারী


আমাকে নিয়েছ তুমি এতোই আপন করে,
আমাকে নিয়েছ তুমি নিজেকে  ভুলে,
পশুকে ঈশ্বর তুমি করেছ ভালোবেসে-
ললনা তোমাকে প্রেম দিতে পারি না-
দুহাতে তুলে ধরি নিজেকে নিবেদনে।


যে সভ্যতা সৃষ্টি করে বিভেদের এতো বেড়াজাল,
এতো হিংস্রতা পাহাড়প্রমাণ;
হাহাকারে রাত জাগে আক্রান্ত মানুষেরা-
আমাকে দুদণ্ড স্বীকৃতি দিয়েছ তুমি,
মোছালে চোখের জল-
এতো কিছু ক্লেশ ভুলে
নিঃস্ব এসেছি সম্পূর্ণ সমর্পণে।

তোমার হাতে তুলে দিলাম নিজেকে;
পৃথিবী উজ্জ্বল করো দয়া ও প্রেমে।

 বটঝুড়ি গ্রাম


আমার নিজস্ব এই বটঝুড়ি গ্রাম, শান্ত বিকেলে
পা রাখলাম; নিকটে নাবাল জমি নিসর্গ চলচ্ছবি,
আমি স্থাণুবৎ - পথ দিয়েছে এ পথের সন্ধান;
পথ থেকেছে পথের অধীন বার বার।

এই শান্তি যেন মেলাভাঙা মাঠ,
উড়ে যায় পাখি- উড়ে যায় রমণীদল,
পরিচ্ছন্ন বসনবেণী; উড়ে যায় জাত কুল।
উড়ে যায় মানসম্মান  লজ্জাহীন অঘোর ঘুমে,
চাদরমুড়ি জমাটঘুমে।

চলনবলন অন্তগমন খুঁট বেঁধেছি গাছের ডালে,
বিশ্রাম তাই বটঝুড়িগ্রাম;
অনন্যপাথরে শুয়ে থাকলাম।





ফকির



শান্ত ফকির এক নেমেছে যমুনা জলে,
নির্জন সাধনা তার –
স্নান শেষে  ফিরে যায় নিজস্ব কুটিরে;
ঝড়ে কিছু পাখি মরে,
বিচলিত ফকিরের অশ্রুধারা মিশে যায়
পুণ্য সলিলে।

দেবত্ব আরোপিত হয়-
ফকিরের সাধনস্থলে,
প্রবল আপত্তি তার ভেসে যায়
জান্তব কোলাহলে।

ফকির কি ভেবেছে কখনও
তাকে ঘিরে গড়ে ওঠা বাণিজ্য বসতি?
পালাবার পথ নেই-
ফকির হয়েছে আজ ভক্তবৎসল;
ত্রাহি মধুসূদন!





No comments:

Post a Comment