ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত
নারী
আমাকে নিয়েছ তুমি এতোই আপন করে,
আমাকে নিয়েছ তুমি নিজেকে
ভুলে,
পশুকে ঈশ্বর তুমি করেছ ভালোবেসে-
ললনা তোমাকে প্রেম দিতে পারি না-
দুহাতে তুলে ধরি নিজেকে নিবেদনে।
যে সভ্যতা সৃষ্টি করে বিভেদের এতো বেড়াজাল,
এতো হিংস্রতা পাহাড়প্রমাণ;
হাহাকারে রাত জাগে আক্রান্ত মানুষেরা-
আমাকে দুদণ্ড স্বীকৃতি দিয়েছ তুমি,
মোছালে চোখের জল-
এতো কিছু ক্লেশ ভুলে
নিঃস্ব এসেছি সম্পূর্ণ সমর্পণে।
তোমার হাতে তুলে দিলাম নিজেকে;
পৃথিবী উজ্জ্বল করো দয়া ও প্রেমে।
বটঝুড়ি গ্রাম
আমার
নিজস্ব এই বটঝুড়ি গ্রাম, শান্ত বিকেলে
পা রাখলাম;
নিকটে নাবাল জমি নিসর্গ চলচ্ছবি,
আমি
স্থাণুবৎ - পথ দিয়েছে এ পথের সন্ধান;
পথ থেকেছে
পথের অধীন বার বার।
এই শান্তি
যেন মেলাভাঙা মাঠ,
উড়ে যায়
পাখি- উড়ে যায় রমণীদল,
পরিচ্ছন্ন
বসনবেণী; উড়ে যায় জাত কুল।
উড়ে যায়
মানসম্মান লজ্জাহীন অঘোর ঘুমে,
চাদরমুড়ি
জমাটঘুমে।
চলনবলন
অন্তগমন খুঁট বেঁধেছি গাছের ডালে,
বিশ্রাম
তাই বটঝুড়িগ্রাম;
অনন্যপাথরে
শুয়ে থাকলাম।
ফকির
শান্ত ফকির
এক নেমেছে যমুনা জলে,
নির্জন
সাধনা তার –
স্নান
শেষে ফিরে যায় নিজস্ব কুটিরে;
ঝড়ে কিছু
পাখি মরে,
বিচলিত
ফকিরের অশ্রুধারা মিশে যায়
পুণ্য
সলিলে।
দেবত্ব
আরোপিত হয়-
ফকিরের
সাধনস্থলে,
প্রবল
আপত্তি তার ভেসে যায়
জান্তব
কোলাহলে।
ফকির কি
ভেবেছে কখনও
তাকে ঘিরে
গড়ে ওঠা বাণিজ্য বসতি?
পালাবার পথ
নেই-
ফকির হয়েছে
আজ ভক্তবৎসল;
ত্রাহি
মধুসূদন!
No comments:
Post a Comment