শাশ্বতী সরকার
অনিকেত
অনিকেত কে আমি সেরা চিঠিগুলো লিখেছি।
ঘুমভাঙানির খুচরো দু'পকেট হেঁটে গেছি ঝমঝম,
ভুল করেও স্বপ্নে এসে হাঁকেনি ডাকমানুষ,
"ওগো, জল দাও..."
মায়ের চূড়ির শব্দের মত পরিচিত অন্ধকার হাতড়ে হাতড়ে
জেনেছি যে আলোর পাতায় চোখ লেখা নেই
যৌথদূরত্বের নিদান লিখে গেলে বর্ষাজীবন
নিরূপাধিক শূন্যতাই সেতু বাঁধে
ঘুম সাধে আতরপলক।
ঘুম। ঘুম মানে চোরাসময়ের পদাবলী। ঘুম আংশিক মৃত্যু। তোমাকে ভোলার মানে তাই তো ছিলো অনিকেত?
পাঠ
আহত চাঁদের ভাষা শিখিনি কখনো,
তার জ্যোছনার বর্ণক্রম,
আত্মচরিত।
অপঠিত হয়ে পড়ে আছে দিনকাল,
মেঘের মাসের মধ্যে সূচের ব্যথার মত অন্ধকার,
তাই দিয়ে জ্যোছনশরীর,
পদছাপ রক্তে ভেসে যায়,
পড়ে থাকে খঞ্জদোপাটি,
চাঁদ শিখি,
আলো শেখা হয়নি কখনো।
আরতি
টাইপ করলে আরতি
লেখা হতে থাকল বাদ্য তাল লয় ও শৃঙ্গার
মৃদঙ্গমাদল, পলাশনোলক দেবদাসী।
সিঁড়িরা সবাই শিখে উঠে গেল পরের ধাপটিতে,
সেখানে তোমার আনমনা বইয়ের পাশে খোলা ছিল ল্যাপটপ,
জ্বলজ্বল করছিল তিল।
খোলা ছিল তিল,
জ্বলজ্বল করছিল...
খানিকক্ষণ পরে ঢেউ খানিকটা আছড়ে পড়ল বিছানায়
চশমা খুলে যেতেই
তুমি অন্ধ,
চাবিখানা দৃষ্টিদুয়ার কিনা, খুঁজে পেতে আছাড়িবিছাড়ি সমুদ্রের ফরমুলায় শিখে গেলে নিভে ওঠা,
ক্রমে শান্ত হলে, যাকে সেই বলেছিলে লেখো, তার প্রোফাইলের সবকটা জলের দরদে মোমখানা, জন্মখানা প্রলেপ লাগালে
এখনও পড়ে উঠতে পারোনি আরতি
রাধা ফিকফিক হাসে।
মেঘের মাসের মধ্যে সূচের ব্যথার মত অন্ধকার..কবিতাগুলো দারুণ লিখেছেন শাশ্বতী। অসাধারণ ! ভাল লাগা রইল।
ReplyDelete